প্রকাশিত: Tue, Jan 17, 2023 1:36 PM
আপডেট: Sat, May 10, 2025 7:45 PM

ইংরেজি চ-ধ্বনি উচ্চারণ করবেন কীভাবে?

মাসুদ রানা

ইংরেজিতে চ বর্ণটি যে-ধ্বনিকে প্রতীকায়িত করে, সেটি ভয়েসলেস বাইলেইবিয়্যাল প্লৌসিভ এ্যাস্পারেইটিড (াড়রপবষবংং নরষধনরধষ ঢ়ষড়ংরাব ধংঢ়রৎধঃবফ)। অর্থাৎ, এর অন্ততঃ চারটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা নিম্নরূপ : (১) চ-ধ্বনির প্রথম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি ভয়েসলেস (াড়রপবষবংং)। অর্থাৎ, চ-ধ্বনি উচ্চারণ-কালে ফুসফুস থেকে বাতাস কণ্ঠ কাঁপিয়ে আসবে না। কণ্ঠ নিষ্কম্প থাকবে।  (২) চ-ধ্বনির দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি বাইলেইবিয়্যাল (নরষধনরধষ)। অর্থাৎ, চ-ধ্বনি উচ্চারিত হবে দু’ঠোঁট একত্রে ব্যবহার করে।

(৩) চ-ধ্বনির তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে,  এটি প্লৌসিভ বা স্টপ (ঢ়ষড়ংরাব ড়ৎ ংঃড়ঢ়)।  অর্থাৎ, ফুসফুস থেকে প্রবাহিত বাতাস মুখে এসে দুঠোঁটের আবদ্ধতায় আটকে থাকবে। (৪) চ-ধ্বনির চতুর্থ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি এ্যাস্পারেইটিড (ধংঢ়রৎধঃবফ)। অর্থাৎ, মুখের ফুসফুস থেকে আসা বাতাস বন্ধ ঠোঁটের বাধাগ্রস্ত হয়ে মুখের ভেতরে জমে, দমকা হাওয়ায় জানালা খোলার মতো ঠোঁটের কপাট খুলে চ-ধ্বনি উচ্চারিত হবে। এ-সময়ে মুখের সামনে হাতের তালু রাখলে সেখানে বাতাসের ধাক্কা বুঝা যাবে। বাংলাভাষীদের জন্যে চ ধ্বনি উচ্চারণ করা বেশ সহজ। বাংলা প-ধ্বনিকে হঠাৎ বয়ে যাওয়া দমকা হাওয়ার মতো ধাক্কা দিয়ে উচ্চারণ করলেই চ-ধ্বনি হয়ে যাবে। 

তবে, সতর্ক থাকতে হবে এর বাইল্যাবিয়্যাল বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে। কারণ, প-দিয়ে পানি লিখিত হলেও, বাংলাদেশের অঞ্চল- ভেদে নিম্নলিখিত উচ্চারণগত পার্থক্য লক্ষ করা যায় (১) ঢাকায় ডধঃবৎ হচ্ছে ‘পানি’। (২) সিলেটে ডধঃবৎ হচ্ছে ফানি’। (৩) নোয়াখালীতে ডধঃবৎ হচ্ছে হানি’। অর্থাৎ, প-উচ্চারণে ঢাকায় ঠোঁট দুটো সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে; সিলেটে ঠোঁট দুটো ঈষৎ ফাঁক হয়ে যায়; নোয়াখালীতে ঠোঁট দুটো পরস্পর থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে মুখ হা হয়ে যায়। ১৬/০১/২০২৩। লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড